উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢল, আর অব্যাহত বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধার সব নদীর পানি বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এছাড়া জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানায়।
পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তা মুখঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। হাজারো মানুষ চরাঞ্চলে পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, গিদারী, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, নিচু চরগুলোতে পানি ঢুকেছে। এখনও অনেক চরে পাট, বাদাম ও মরিচসহ কৃষি পণ্য রয়েছে। যদিও বাদাম ও মরিচ প্রায় মাড়াই শেষ।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।